Description
Women care
মরিংগো বৈজ্ঞানিক নাম মরিংগা ওলেইফেরা । ইংরেজিতে গাছটিকে মিরাকল ট্রি বা অলৌকিক গাছ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা পুষ্টির দিক দিয়ে মরিঙ্গাকে পুষ্টির ডিনামাইট আখ্যায়িত করেছেন। মরিঙ্গা পাতাকে বলা হয় নিউট্রিসাস সুপার ফুড। মরিঙ্গা পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। এর ফুল, পাতা, ফল সব কিছুই সুস্বাদু ও পুষ্টি গুনে ভরপুর। স্বাস্থ্য উপকারীতা মরিঙ্গা ০১। প্রতি গ্রাম মরিঙ্গায় পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। মরিঙ্গা ০২। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রণ বিদ্যমান, যা এ্যানেমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মরিঙ্গা ০৩। সজনে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও অন্যতম অবদান রাখে। ০৪। মানুষের শরীরের প্রায় ২০% প্রোটিন যার গাঠনিক একক হলো এমাইনো এসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবোলিজম এবং অন্যান্য শারীরবৃত্ত্বীয় কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে এমাইনো এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষের শরীরের যে ৯ টি এমাইনো এসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সবগুলোই এই মরিঙ্গার মধ্যে বিদ্যমান। ০৫। এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মত কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। ০৬। নিয়মিত দৈনিক সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট হওয়ার দরুন এটি এইডস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ০৭। এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ০৮। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। ০৯। এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪% প্রোটিন, ৪০% ক্যালসিয়াম, ২৩% আয়রণ বিদ্যমান, যা ১ থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠ বিকাশে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন সময়ে ৬ টেবিল চামচ পাউডার একজন মায়ের প্রতিদিনের আয়রণ এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। ১০। এটির এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে। ১১। সজনে-তে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। ১২। এতে ৩৬ টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ১৩। সজনের ফুল বসন্ত রোগের প্রতিষেধক। সজনে ফুল শরীরের ঊষ্ণতা বৃদ্ধি করে। কফ ও বায়ুনাশ করে। কৃমি ও পিলের রোগ সারায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দৃষ্টিশক্তি ও হজমশক্তি বাড়ায়। সজনে ফুলের মধ্যে থাকা টেরিগোস্পার্মিন নামে বিশেষ এক যৌগের উপস্থিতির কারনে, বীর্যে স্পার্ম বা শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে স্পার্মকে শক্তিশালী ও তৎপর করে তোলে।
Reviews
There are no reviews yet.